সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / ৪নং বিপদ সংকেত ঃ ধেয়ে আসছে মোখা , সীতাকুণ্ডে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় প্রস্তুত ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসন

৪নং বিপদ সংকেত ঃ ধেয়ে আসছে মোখা , সীতাকুণ্ডে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় প্রস্তুত ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসন

সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্ক ঃ
মোখা ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রামের দিকেই ধেয়ে আসছে। বর্তমান কক্মবাজারসহ চট্টগ্রামকে ৪নং বিপদ সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নে হযরত খাজা কালু শাহ (রহ.) জামে মসজিদে জুমার নামাজে এসে আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সম্পর্কে জনগণের উদ্দেশে এক সচেতনতামূলক বক্তব্যে এসব কথা বলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশাার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। । সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করবেন যাতে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়।
তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময় টানা বৃষ্টি হলে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি পাহাড়ে বা পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী সাধারণ নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান।

আসন্ন ঘূর্ণিঝড় মাখা মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উপজেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এছাড়া দু্র্েযাগ মোকাবেলায় কাজ করবে সিপিবি, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সেনাবাহিনীর টিম। স্ব-স্ব জনপ্রতিনিধিরাও তাদের নিজস্ব এলাকায় সর্তকতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে। ফায়ার সার্ভিস তিন ভাগে দুর্যোগ কমিটি গঠন করেছে। ঘুর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় গতকাল উপজেলা হল রুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিদের সাথে দুর্যোগ প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম, মুরাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ রেজাউল করিম বাহারসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
গতকাল উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার স্বাক্ষরিত একটি নোটে যন্ত্রপাতিসহ প্রস্তুত থাকতে বলা হয়। এটি তিনটি ভাগে গঠন করা এসব টিমে রয়েছে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল, প্রাথমিক চিকিৎসা দল এবং জল উদ্ধারকারী দল। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সার্বক্ষণিক উপজেলার যে কোনো স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ জানমাল রক্ষায় কাজ করবে এসব দল।
ফায়ার সার্ভিসের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপকূলীয় দুর্যোগে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফায়ার স্টেশনে ৮ জনের একটি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল ৭ জনের একটি প্রাথমিক চিকিৎসা দল এবং ৬ জনের একটি জল উদ্ধার দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আগে ফায়ার সার্ভিস সতর্কতামূলক মাইকিং করে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাবে। এছাড়া সড়কগুলো যান চলাচলের উপযোগী করতে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত থাকবে ফায়ার সার্ভিস। এসব এলাকায় জান-মালের সুরক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো কাজে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিস নেওয়া যেতে পারে বলে জানান উপজেলা ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা নুরুল আলম দুলাল। তিনি আরো বলেন, আমরা ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। উপকূলীয় ও পাহাড়ি এলাকায় মাইকিং করা হবে। এছাড়া সবাইকে সচেতন করতে কাজ করছি। আগামী শনিবার ঘুর্ণিঝড় হানা দিতে পারে বলে জানান তিনি। যেকোন ধরনের দু্র্েযাগ ও জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। পর্যাপ্ত পরিমান স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেটসহ সব ধরনের ওষুধ মজুদ আছে। এছাড়া দু্র্েযাগ ও মহামারিকালে সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বদ্ধ পরিকর বলে জানান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. নুর উদ্দীন রাশেদ। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন জানান, ঘুর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। উপজেলার এসএসসি কেন্দ্রগুলো ছাড়া অন্যান্য সকল বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয় ১০ টন চাউল ও ৪০ টাকা দিয়েছে। ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় ফায়ার সার্ভিস, সিপিবি, সেনাবাহিনী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সরকারের সকল দপ্তর কাজ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *