সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্ক ঃ
ছেলেকে দাফন করার পরের দিন খবর এল অগ্নিদগ্ধ চিকিৎসাধীন বাবার মৃত্যুর সংবাদ । বাবা ছেলের মৃত্যুর সংবাদ সীতাকুণ্ড কুমিরা এলাকায় নেমে এসেছে নিস্তব্ধতা । এক মাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ মা তাহমিনা আক্তার হারিয়েছে তার স্বামীকেও। কে দিবে এই সান্তনা। বাবা ও এক মাত্র ভাইকে হারিয়ে তিন বোনের আহাজারী আকাশ বাতাসকে ভারী করে তুলছে।
গত ১১ মে বৃহস্পতিবার বিকালে বরিশাল কীর্তনখোলা নদীতে এমটি এবাদ-১ জাহাজে তেলের ট্র্যাংক বিস্ফোরনে ঘটনাস্থলে মারা যায় সীতাকুণ্ড কুমিরা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের ফারদিন আরাফাত স্বাধীন। ঘটনাস্থলেই অগ্নিদগ্ধ হয়েছিল স্বাধীনের পিতা জাহাজের চীফ ড্রাইভার মোঃ কুতুবউদ্দিন (৬২) । গত রবিবার ভোর রাতেই হাসপাতালে মারা যান কুতুব উদ্দিন।
স্বাধীন এর শোকাহত মামা নিয়াজ মোর্শেদ জানান আমাদের আদরের একমাত্র ভাগিনা ফারদিন আরাফাত স্বাধিন (২২) গত বৃহস্পতিবার বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে জাহাজের মধ্যে বিস্ফোরণে নিহত হয়। শনিবার রাতে তার দাফন কার্যসম্পাদন করার পর একই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ আহত বাবা জাহাজের চীফ ড্রাইভার মোঃ কুতুবউদ্দিন (৬২) এর মৃত্যুর খবর আসে রবিবার গভীর রাতে । তিনি আরও জানান ৩বোনের ছোট ভাই ছিল স্বাধীন। মা একমাত্র ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু সবাইকে কাঁদিয়ে চলেগেল না ফেরার পথে। শনিবার রাতে কুমিরা ডাল-চাল মিঞা (রঃ) মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে স্বাধীনকে । সোমবার রাতে স্বাধীনের বাবা কুতুব উদ্দিনের লাশ ঢাকা থেকে আসার কথা জানান তিনি ।
জানা যায়, বরিশালে এমটি এবাদ-১ নামক একটি তেলবাহী জাহাজে চাকুরী করতেন কুমিরা ইউনিয়নের বাসিন্দা জাহাজের চীপ ড্রাইভার মো.কুতুব উদ্দীন। একমাত্র ছেলে ফারদিন আরাফাত স্বাধীন তার বাবার কর্মস্থলে বেড়াতে গিয়েছিল । স্বাধীন উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং ছালামত মাস্টারের বাড়ির কুতুব উদ্দীনের একমাত্র ছেলে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার মর্মান্তিক এক তেলের ট্রাংক বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে মারা যান ছেলে স্বাধীন।আহত হন পিতা কুতুব উদ্দিন। তার হাত-পা জ্বলসে যায়। তিনি ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাতেই মারা যান। পিতা পুত্রের মৃত্যুতে পুরো সীতাকুণ্ডে শোকের ছায়া নেমে আসে। শতশত মানুষ ভীড় করছে কুমিরা নিউ রাজাপুর গ্রামের স্বাধীনের বাড়িতে।