ইব্রাহিম খলিল, ১৩ডিসেম্বর(সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)-
সীতাকুন্ডে কুমিরা গুপ্তছড়া ফেরিঘাটের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ থেকে ইজারা নেওয়া লোকদের সাথে সাবেক ইজারাদার রাজা কাসেমের লোকজনের সঙ্গে ফের আবারও সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। গতকাল শুক্রবার ভোর ৬ টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের কারনে প্রশাসন ফেরীঘাটে যাত্রী পারাপার সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষনা করায় যাতায়াতে চরম দূভোর্গ পোহাতে হচ্ছে হাজারোও যাত্রীদেরকে।
সূত্রে জানা যায় শুক্রবার সকালে উভয় পক্ষ টিকেট বিক্রি শুরু করলে বিডব্লিওটিআই’এর ইজারাদার আবুল কাসেম রাজার লোকজনের উপর জেলা পরিষদ ইজারাদার আনোয়ারের লোকজন হামলা চালায়। তারা কাউন্টারের আসবাবপত্র ও রাজা কাসেমের ব্যক্তিগত অফিসের আসবাবপত্র চেয়ার-টেবিল ও থাই গ্লাস, দুটি ইঞ্জিন ভাংচুর করে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে বিডব্লিওটিআই’এর ইজারাদার আবুল কাসেম রাজা অভিযোগ করে। সংঘর্ষে বোটের মাঝিসহ উভয় পক্ষের ১৫ জন মারাত্বকভাবে আহত হয়। সংঘর্ষে আহতরা হলেন-আইয়ুবআলী, বুলবুল, জামশেদ, বাহার, সালাউদ্দিন, তারেক, দিদার, নূরআলম ড্রাইভার, মোশারফ, ছোটন, বোটের মাঝি মো. আলমগীর, নাছির উদ্দিন, হারুন, হামদু মিয়া ও নূরুল আলম সেলিম। সংঘর্ষের পর আহতদের চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা পরিষদের পক্ষে টোল আদায়কারী মো.আনোয়ার হোসেন জানান, গত ৭ নভেম্বর থেকে জেলা পরিষদের অনুমতিক্রমে এ ঘাটে যাত্রী পারাপার করে আসছি আমরা। এজন্য প্রতিদিন খাস কালেকশানের ভ্যাট ও আয়কর হিসাবে আমরা জেলা পরিষদকে ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে আসছি। কোন কারন ছাড়াই বিডব্লিউটিআই’র ইজারাদার হিসাবে দাবী করে জেলা পরিষদের সাবেক ইজারাদার রাজা কাশেমের কিছু লোক যাত্রী পারাপারে বাঁধা দেয়।’
কাশেম রাজার ম্যানেজার সেলিম উল্লাহ সেলিম জানান, প্রতিপক্ষের লোকের আমাদের অফিসে হামলা করে আমাদের ১০ জন লোককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় তারা আমাদের অফিস ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে ২ কোটি টাকার ক্ষতি করে। আমরা এ বিষয়ে সীতাকু- থানায় মামলা দায়ের করি। এ বিষয়ে সীতাকু- মডেল থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান বলেন, ‘সম্ভাব্য সংঘাত এড়াতে উভয় পক্ষকে সাময়িকভাবে যাত্রী পারাপার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকার কারনে জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে উভয় পক্ষকে যাত্রী পারাপারে সাময়িক বন্ধ রেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ঘাট পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
সীতাকু- উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, টোল আদায় নিয়ে উভয়ের মধ্যে পূনরায় সংঘর্ষের ঘটনা শুনে আমি পুলিশ পাঠিয়ে সাময়িকভাবে যাত্রী পারাপার বন্ধ রেখেছি।’ অন্যান্য ঘাট দিয়ে যাত্রী পারাপার করবে।