সংবাদ শিরোনাম
Home / উপজেলা সংবাদ / সীতাকুণ্ডে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে বক্তারা সাগর রুনির হত্যার বিচারের দাবি

সীতাকুণ্ডে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে বক্তারা সাগর রুনির হত্যার বিচারের দাবি

৩ মার্চ (সীতাকুণ্ড টাইমস ডটকম)-

Sitakund Ypsa Photo-Sগণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সীতাকুণ্ডে ২০তম বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত হয়েছে। ৩ মে শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব ও রেডিও সাগর গিরি এফএম ৯৯.২ এর আয়োজনে সীতাকুণ্ডের কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা ইপসা মানব সম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইপসা রেডিও সাগর গিরি চলমান কার্যক্রম ও গণমাধ্যম কর্মীদের গতিশীল রাখতে আরো উৎসাহিত ও অনুপ্রণিত করার লক্ষ্যে এই সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ধারনাপত্র পাঠ করেন রেডিও সাগর গিরি এফএম ৯৯.২ এর স্টেশন ম্যানেজার মোঃ শাহ্ সুলতান শামীম। এতে বক্তব্য রাখেন, সীতাকু- প্রেসক্লাব সভাপতি এম. হেদায়েত, সাধারণ সম্পাদক কাইয়ুম চৌধুরী, রেডিও সাগর গিরির হিসাব ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ সাফায়েত হোসেন, কারিগরী প্রযোজক সঞ্জয় চৌধুরী ও সীতাকু-ের কর্মরত সাংবাদিকগণ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একজন কলম সৈনিক মুক্তিযোদ্ধা থেকেও কোন অংশে কম নয়। দেশের কল্যানের জন্য গণমাধ্যম অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিভিন্ন কারণে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিকরাই হত্যার শিকার ও নির্যাতিত হচ্ছে। তাই এটি রোধ করতে সরকারের পাশাপাশি সচেতন জনগনকেও এগিয়ে আসতে হবে। যতদিন পর্যন্ত রাজনৈতিক দল ও সচেতন মহল এ বিষয়ে সুষ্ঠ প্রদক্ষেপ গ্রহণ করবে না ঠিক ততদিন পর্যন্ত সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না। বক্তারা সাগর-রুনির হত্যা কান্ডের বিচার না হওয়ায় সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। বর্তমানে শহর থেকে মফস্বল সাংবাদিকরাই সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় থাকতে হয়। চট্টগ্রামের অন্যান্য জেলা উপজেলা থেকে সীতাকু-ের সাংবাদিকদের মৃত্যু ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তাই এগুলো রোধ করতে হলে দেশের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ধারনা পত্রে বলা হয়েছে, ১৯৯৩ সালে প্রম জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে ০৩ মে’কে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়। তখন থেকেই জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ইউনেস্কো’ (ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক এন্ড কালচারা অর্গানাইজেশন) বিশ্বব্যাপী মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মৌলিক অধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।ইউনেস্কে সাংবিধানিকভাবে তার সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মুক্ত মত ও জ্ঞান বিনিময় এবং আলোকচিত্র ও শব্দের মাধ্যমে স্বাধীন মত প্রকাশের চেতনা লালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ এবং মুক্ত গণমাধ্যমের গুরুত্ব উপলব্ধি করে ১৯৯১ সালের ৩ মে নামিবিযার উইন্ডহকে আফ্রিকার সাংবাদিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ‘ডিক্লারেশন অন প্রমোটিং ইন্ডিপেন্ডেন্ট অ্যান্ড প্লুরালিস্টিক মিডিয়া’ শীর্ষক সেমিনার। এখানে তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং স্বাধীন সাংবাদিকতাকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পূর্ব শর্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *