সংবাদ শিরোনাম
Home / উপজেলা সংবাদ / সীতাকুন্ডে জনবসতী এলাকায় পরিবেশ দূষণ কার্যক্রম অবৈধ উপায়ে তৈরি হচ্ছে মুবিল, স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে ২০০০ মানুষ

সীতাকুন্ডে জনবসতী এলাকায় পরিবেশ দূষণ কার্যক্রম অবৈধ উপায়ে তৈরি হচ্ছে মুবিল, স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে ২০০০ মানুষ

Sitakund doshon mobil PIc-allমোঃ আব্দুল্লাহ আল ফারুক,৩ অক্টোবর (সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)- সীতাকুন্ড উপজেলার ভাটিয়ারি ইউনিয়নের কদমরসূল এলাকার সালে কার্পেটস্থ দক্ষিন জাহানাবাদ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা চলছে অবৈধ উপায়ে পুরা মুবিল থেকে ১নং মুবিল তৈরির কার্যক্রম। তার কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে জাহানাবাদ এলাকার দুই হাজার মানুষ। ঐ এলাকা বাসির অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল সকাল ১১ টায় ঘটনাস্থলে গেলে দেখা যায় উক্ত মুবিল তৈরীর ডিপু গাউচিয়া অয়েল সাপ্ল¬াইয়ারের গেইটে গেলে অর্ধ শতাধিক মানুষ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করছিল। এসময় বিক্ষোভ কারীদের মধ্য থেকে কামাল উদ্দিন, আব্দুল মান্নান, মোঃ সাইফুল, ইব্রাহিম, দিদার, জাহাঙ্গির মেম্বার, জসীম, এগিয়ে এসে সাংবাদিকদের বলেন, এই এলাকায় সালাম চৌধুরী নামের এক ব্যাক্তি দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ সীতাকু-ের শীপইয়ার্ড গুলো থেকে সংগ্রহকৃত কালোতেল ও জাহাজের ব্যবহৃত পুড়া মুবিল কিনে এনে তার গাউছিয়া অয়েল ডিপুতে রাখে। এরপর এফও, পোড়া মুবিলকে আগুনের চুলি¬তে বড় বড় কড়াইতে জাল দিয়ে দিনে রাতে মবিল তৈরির কার্যক্রম চালাচ্ছে। আবার এই মবিলকে ১ নং মবিল বলে বাজারজাতও করছে। রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন সেক্টরে ও পরিবহন সেক্টরে এই মবিল সাপ¬াই দেওয়া হচ্ছে। তারা অভিযোগে আরও বলেন, এই মবিল আগুনে জাল দেওয়া যখন শুরু হয় তখন জাহানাবাদ এলাকায় পুড়া দূর্গন্ধে থাকা কারো পক্ষে সম্ভব হয় না, দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিরা বেশ কয়েকবার এমন কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য সালাম চৌধুরীকে নিষেধ করার পর সে এই কাজটি বন্ধ করবে বলে বার বার প্রতিশ্রুতি দিলে ও সে তার কার্যক্রম বন্ধ করেনি। স্থানীয় সমাজসেবক মোঃ জাফর আলম বলেন, দিনের পর দিন এই ডিপুতে অবৈধ উপায়ে মবিল তৈরি হওয়ায় এখানকার মানুষেরা চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এখানকার মানুষদের অনেকে হাঁপানি, যক্ষা, ক্যান্সারের মতো দূরারোগ্য ব্যাধীতে আক্রান্ত হচ্ছে। তাছাড়া এ মবিল একবার গাড়ির ইঞ্জিন বার যে কোন যন্ত্রাংশে ব্যবহার করলে তা অল্প দিনেই অকার্যকর হয়ে পড়বে। তাই জনগনের স্বার্থে ও পরিবেশ রক্ষায় সংশি¬ষ্ট প্রশাসনের উচিত অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মবিল তৈরির কার্যক্রম দ্রুত বন্ধের ব্যবস্থা করা । ডিপুটির অভ্যান্তরে গিয়ে এর মালিক সালাম চৌধুরীকে সাথে নিয়ে চারদিক ঘুরে দেখতে গিয়ে দেখা যায় বড় বড় চারটি চুলি¬তে বড় বড় চারটি লোহার কড়াই পড়ে আছে। তিনি স্বিকার করেন এসব কড়াইতে জালদিয়ে মুবিল তৈরী করি। তবে এলাকা বাসীর বাঁধার কারণে এখন করিনা। এখানে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এসে দেখে গেছেন। বর্তমানে যা কিছু করি তাদের অনুমতি নিয়েই করছি। তাছাড়া এটা আমার নিজস্ব জায়গা এখানে আমি ব্যবসা করি ও পরিবার পরিজন নিয়েও থাকি। হয়ত আমার উপর ইর্ষান্বিত হয়ে এলাকাবাসি নানা অভিযোগ তুলছে। তবে তিনি এ কথা বললেও চট্টগ্রাম আগ্রাবাদস্থ ফায়ার সার্ভিস অফিসের দেওয়া একটি অগ্নি নির্বাপক সার্টিফিকেট ছাড়া বৈধ আর কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি। পরিবেশ অধিদপ্তর বা প্রশাসনের কারো অনুমোদন পত্রও দেখাতে পারেননি তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *