মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বিএসসি, ২৯ মে (সীতাকুন্ড টাইসম ডটকম)-
সীতাকুন্ডে কুমিরা এলাকা থেকে অপহরন হয়েছে বলে সীতাকু- থানায় অভিযোগ করার পর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন বিএসবিএ’র সচিব নাজমুল আহসান।
সূত্রে জানা যায়, কুমিরাস্থ এম এ কাসেম রাজার মালিকানাধীন বিবিসি স্টীল শিপ ইয়ার্ডে গত মঙ্গল বার শিল্প মন্ত্রনালয় থেকে একটি তদন্ত টিম আসলে উক্ত টিমে যোগদান করতে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে আত্মগোপন হন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স এসোসিয়েশন (বিএসবিএ) অফিস সচিব নাজমুল আহসান। সচিব অপহরন হয়েছে মর্মে সীতাকু- থানায় বিএসবিএ’র পক্ষ থেকে নুরে আলম হিমেল বাদী হয়ে একটি অভিযোগ করেন। শুরুতেই পুলিশের কাছে সন্দেহ হলে নাজমুল আহসানের মোবাইল কললিস্ট সংগ্রহ করে তার বাসা নগরীস্থ আকবর শাহ মাজার সংলগ্ন এলাকায় খুলশি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাজমুল আহসানকে আটক করে খুলশি থানায় নিয়ে যায়। এসময় সে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানায়, গত মঙ্গলবার কুমিরা বিবিসি ষ্টীল শিপ ইয়ার্ডে তাকে ঢুকতে না দেওয়ায় সে বাসায় এসে মোবাইল বন্ধ করে রাখেন। তার অফিসের কর্মকর্তারা আমি অপহরনের হয়েছি বলে অভিযোগ এনে সীতাকু- থানায় অভিযোগ করেছেন শুনেছি। তবে তিনি অপহরন হননি । এদিকে বিবিসি স্টীলের মালিক এম এ কাসেম রাজা বলেন, সচিবকে অপহরনের নাটক সাজিয়ে তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার উদ্যেশ্যই ছিল বিএসবিএ’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের। তিনি আরও জানায় এ ঘটনার নাটের গুরু হচ্ছে শিপইয়ার্ড ব্যবসায়ী শওকত আলী । সচিব উদ্ধার হওয়ায় এই যাত্রায় তিনি বিএসবিএ’র ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পেলেন। এব্যাপারে বিএসবির প্রভাবশালী নেতা নাজিম উদ্দিন জানায় অফিস সচিব নাজমুল আহসানকে গতকাল ৪/৫ঘন্টা অবরোদ্ধ করে রাখে রাজা কাসেম। তখন তারা থানায় অভিযোগ করার পর নাজমুলকে রহস্যজনকভাবে মোবাইল বন্ধ করে বাসায় বসে থাকে । পরে নাটকীয় ভাবে তাকে পুলিশ উদ্ধার করে। উদ্ধার করার পর নাজমুল রাজার বিরুদ্ধে কোন মন্তব্য না করে তিনি আর বিএসবিতে চাকুরী করবেনা জানানোর পর রহস্য আরও ঘনিভূত হয়। পরিশেষে অধহৃত বিএসবি কর্মকর্তাকে থানা থেকে মুক্ত করে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার পর অপহরণ নাটকের যবনিকা ঘটে।