সংবাদ শিরোনাম
Home / উপজেলা সংবাদ / জামায়াতের আমীর মাওলানা নিজামীর ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে সীতাকুন্ডে মিছিল ঃ পুলিশ ছাত্রলীগের গুলিতে আহত ১০ জামায়াত কর্মী

জামায়াতের আমীর মাওলানা নিজামীর ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে সীতাকুন্ডে মিছিল ঃ পুলিশ ছাত্রলীগের গুলিতে আহত ১০ জামায়াত কর্মী

Nijami-picনিজস্ব প্রতিবেদক,২৯অক্টোবর(সীতাকুন্ড টাইমস)-
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আজ বুধবার দুপুরে সীতাকুন্ড বাড়বকুন্ড বাজারে জামায়াত শিবির প্রতিবাদ মিছিল বের করে। এসময় পুলিশ ও ছাত্রলীগ মিছিলের উপর গুলি ছুড়ে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শিবিরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রবিউল হোসেন জানান দুপুরে তাদের প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশ ও ছাত্রলীগ গুলি চালায়। এসময় তাদের ১০ নেতা কর্মী আহত হয়েছে। তিনি এ রায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন সরকার মুসলিম নেতাদের একের পর এক হত্যা ও নির্যাতন চালিয়ে এদেশ থেকে ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করার গভীর ষড়যন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। সীতাকুন্ড মডেল থানার এসআই কামাল জানায় বাড়বকুন্ডে জামায়াত শিবির মিছিল বের করতে চাইলে আমরা ২০/৩০রাউন্ট ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্র ভঙ্গ করে দিই।

এদিকে নিজামীর রায়ের পক্ষে সীতাকুন্ড পৌরসদররে মিছিল করেছে পৌর আওয়ামীলীগ যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

আজ বুধবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক।

এর আগে গতকাল নিজামীর মামলার রায় ঘোষণার জন্য ট্রাইব্যুনাল এ দিন ঠিক করেন।
গত ২৪ জুন নিজামীর রায় ঘোষণার কথা থাকলেও ওই দিন তার অসুস্থতার কারণে রায় ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়।
গত ২৪ মার্চ চূড়ান্ত যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল-১।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগের মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন মতিউর রহমান নিজামীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে একই বছরের ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। নিজামীর বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে ৩৩৬ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। আর আনুষঙ্গিক কাগজপত্রসহ প্রায় আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট তৈরি করা হয়। তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, খুন, ধর্ষণ এবং অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৬টি অভিযোগ আনা হয়।

২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি নিজামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। ওই বছরের ২৮ মে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৬টি অভিযোগ এনে নিজামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

নিজামীর বিরোদ্ধে ২০১২ সালের ২৬ আগস্ট থেকে গত বছরের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তার বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক খানসহ ২৬ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। নিজামীর পক্ষে তার ছেলে নাজিব মোমেনসহ চারজন সাফাই সাক্ষ্য দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *