সংবাদ শিরোনাম
Home / উপজেলা সংবাদ / কুমিরা ঘাটের রাজা এখন সন্দ্বীপের আনোয়ার

কুমিরা ঘাটের রাজা এখন সন্দ্বীপের আনোয়ার

কাইয়ুম চৌধুরী,৮ নভেম্বর(সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)-
বহুল আলোচিত সমালোচিত কুমিরা সন্দ্বীপ ফেরীঘাট র্দীঘদিন কাসেম রাজার পরিচালনায় থাকার পর গত শুক্রবার থেকে সন্দ্বীপের চেয়ারম্যান দায়িত্ব পান। কাল থেকে ঘাটের রাজা কাসেম নয় আনোয়ার হোসেন।
জেলা পরিষদের জেল/চট্ট/২৩২/১৩-১৪/২৪৫৭ নং, তাং-০৬ নভেম্বর স্মারক নং সূত্রে জানা যায়, গত ৩১অক্টোবর‘১৩ জেলা পরিষদ কর্র্তৃপক্ষ বহুল আলোচিত সমালোচিত মিছিল, মানববন্ধন পত্রিকায় পক্ষে বিপক্ষে লেখালেখির পর উন্মুক্ত টেন্ডার আহ্বান করে। টেন্ডারে বর্তমান ঘাট ইজারাদার দৈনিক ৫৪ হাজার টাকা ও সন্দ্বীপের জনৈক আনোয়ার হোসেন দৈনিক ৭৫ হাজার টাকা টেন্ডার ডাক দেয়। নিয়মনুযায়ী জেলা পরিষদ সর্বোচ্চ ডাকদাতা আনোয়ার হোসেন কে গতকাল ঘাট বুঝিয়ে দেন। ঘাট বুঝে নেয়ার সময় উভয়পক্ষের মধ্যে একটু উত্তেজনা দেখা দিলেও জেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও পূর্বের ইজারাদার রাজা কাসেমের হস্তক্ষেপে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীতাকু-ের টোবাকো, কুমিরা, বাড়বকু-, ফকিরহাট ও সীতাকু–সন্দ্বীপ ফেরীঘাট গুলো শীতলপুরস্থ বিশিষ্ট শিল্পপতি এম এ কাসেম রাজা পরিচালনার দায়িত্ব পান। এর মধ্যে বাঁশবাড়ীয়া, বাড়বকু- ফেরীঘাটগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে লোকসান হওয়ার কারনে। অন্যান্য ঘাটগুলোও জোড়াতালি দিয়ে চলছে। তবে শুধুমাত্র কুমিরা মগধারা গুপ্তছড়া ফেরীঘাটটিই লাভজনক বলে জানা গেছে। ইতিপূর্বের ইজারাদার দায়িত্ব পাওয়ার পর বেশ উন্নয়ন ঘটেছিল কুমিরা ঘাটের। কিন্তু বাধসাদে সন্দ্বীপবাসী, তাদের আপত্তি ফেরী পারাপারে জেলা পরিষদের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করছে। এনিয়ে আন্দোলনের দানা বেধে উঠে। শেষ সময় সন্দ্বীপের বিভিন্ন সংগঠন পেশা জীবি মানুষ আন্দোলনে নানান কর্মসূচীতে অংশ গ্রহন করে। জেলা পরিষদে ঘেরাও বাক-বির্তক হাতাহাতি কত কিছুই হয়ে গেল। একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ঘাটের রাজা কাসেম’’ শিরোনামে এক পৃষ্ঠা নানান কাহিনী ছাপিয়ে ক্রোড়পত্রও প্রকাশ করে। সন্দ্বীপ বাসীরা আন্দোলন তীব্রতর করে তোলে। মানবন্ধন, পাল্টা মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, পাল্টা সংবাদ সম্মেলন, বিবৃতি টানা দুই মাস চলার পর অবশেষে জেলা পরিষদ ৩১ অক্টোবর’১৩ইং উন্মুক্ত ডাক ঘোষণা করে। সব কিছু অবসান ঘটিয়ে নতুন ইজারাদার সন্দ্বীপের আনোয়ারকে গতকাল ঘাট বুঝিয়ে দেয় জেলা পরিষদ।
তবে এতেই সব সমাধান নয় বলে বিজ্ঞ মহলের মন্তব্য। কারণ ঘাটের এত উন্নয়নের পরও যাত্রীরা আন্দোলনে নেমেছে তাদের মূল দাবী পারাপার ভাড়া কম নেয়ার জন্য। ট্রলারে প্রতিযাত্রী ১১০ টাকা, স্পীড বোডে প্রতিযাত্রী সাড়ে তিনশত টাকা ছিল পূর্বে। মালামাল ভাড়া পরিমানমত। এখন নতুন ইজারাদার কত কম নেবেন এটাই যাত্রীদের দেখার বিষয়। এখন যদি কম নিয়ে পারাপার করেন তাহলে ধন্যবাদ, পূর্বের ইজারাদার শিল্পপতি দানবির হয়ে তিনি পারলেন না কেন? তাও আলোচনার বিষয়। তবে সব বির্তক অবসান ঘটিয়ে যাত্রীরা পারাপারে সুবিধা পাক। নিরাপদে পার হোক এটাই সকলের আশাবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *