সংবাদ শিরোনাম
Home / জাতীয় / ফেনীতে ডাকাতদের হাতে মিরসরাইয়ের চালক খুন ||যাত্রীদের বাঁচাতে প্রাণ দিল আবুল হোসেন||

ফেনীতে ডাকাতদের হাতে মিরসরাইয়ের চালক খুন ||যাত্রীদের বাঁচাতে প্রাণ দিল আবুল হোসেন||

1016842_501274359952271_1363434985_nএম মাঈন উদ্দিন, মিরসরাই থেকে, ২৬জুলাই(সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)-
বাস যাত্রীদের ডাকাত দলের কবল থেকে রক্ষা করতে গিয়ে নিজেই প্রাণ দিলেন মিরসরাইয়ের বাস চালক আবুল হোসেন লাতু (৫৫)। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লালপোল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের একদল ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম থেকে সৌদিয়া পরিবহনের ( বাস নং চট্টমেট্্েরা ব ১১-০৬৯৭) একটি বাস ভাড়া করে ঢাকার বাবুবাজারে যাওয়ার পথে একদল ডাকাত বাসটির গতিরোধ করার চেষ্টা করে। এ সময় বাস না থামালে চালক ডাকাতদের গুলিতে আহত হন। এ সময় চালকের আসনে বসে হেলপার বাসটি নিয়ে দ্রুত চলে যেতে সক্ষম হন। পরে গুলিবিদ্ধ চালককে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এরপূর্বে গত ২৩ জুলাই রাতে লালপোল এলাকায় তার বাসে ডাকাতির চেষ্টা করে ডাকাতদল। কিন্তু চালক আবুল হোসেন অদম্য সাহসের কারণে তা সম্ভব হয়নি। তখন থেকে তাকে টার্গেট করে ডাকাত দল।
এদিকে আবুল হোসেনের মৃত্যুর খবর শুনে তার এলকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারের একমাত্র উপর্জন করা মানুষটি হারিয়ে হতবিহ্বল তার পরিবারের লোকজন। এলাকার লোকাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় তিন বছর ধরে ড্রাইভিং পেশায় জড়িত রয়েছে আবুল হোসেন। এলাকায় কারো সাথে তার কোন বিরোধ ছিলনা। সদা হাসোজ্জল এই লোককে কেন ঘাতকদের হাতে প্রাণ দিতে হল এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পান না তারা।
উপজেলার ১৫ নম্বর ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর গ্রামের মৃত সুলতান নুরের প্রথম ছেলে আবুল হোসেন। ৫ মেয়ে এক ছেলে রয়েছে তার। একমাত্র ছেলে শেখ ফরিদ সরকারহাট এনআর উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত।
ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘আমি ছোট বেলা থেকেই তাকে দেখেছি। কারো সাথে কোন সমস্য ছিলনা। সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন আবুল হোসেন। কিন্তু ডাকাতদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে তাকে।’
ফেনী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশের ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’ শুক্রবার বিকেলে জানাযায় শত শত মানুষ অংশ নেয়। জানাযা শেষে ছোট কমলদহ পারিবারিক করস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *