সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / বার আউলিয়া থেকে ডিবি পরিচয়ে অপহৃত ইয়াছিনকে একদিন পর কুমিল্লা থেকে উদ্ধার

বার আউলিয়া থেকে ডিবি পরিচয়ে অপহৃত ইয়াছিনকে একদিন পর কুমিল্লা থেকে উদ্ধার

সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্ক ঃ

সীতাকুণ্ডের বার আউলিয়া থেকে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে অপহরণ হওয়া সংবাদপত্র এজেন্ট এস.এম ইয়াছিনকে একদিন পর সোমবার রাত ৯ টার সময় কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার মাধাইয়া বাজার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বিষয়টি চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ইয়াছিন নামে একজন রাতে আমাদের থানায় এসেছে। তিনি বলেছেন তাকে চট্টগ্রাম থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয় দিয়ে মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করেছে। পরে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে মহাসড়কের চান্দিনা এলাকার একটি গলিতে ছেড়ে দেয়। আমারা সীতাকুণ্ড থানার সাথে কথা বলে তার অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তারা চান্দিনায় আসছে।

এদিকে মুক্ত হওয়ার পর রাতে ইয়াছিন ফোন করে জানায়, রবিবার সকাল ৭ ঘটিকায় উপজেলার বার আউলিয়া এলাকার তার সংবাদপত্র সরবরাহের অফিস থেকে তাাে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যায়। চান্দিনা থানা হেফাজতে থাকা ইয়াছিন পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, বার আউলিয়া থেকে ডিবি পরিচয়ে মাইক্রোতে তোলার পর কাপড় দিয়ে আমার চোখ বেঁধে ফেলে তারা। এরপর তারা কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার মাধাইয়া বাজার থেকে আনুমানিক ২০ মিনিটের পথ একটি গ্রামে নিয়ে গিয়ে সেখানে একটি ঘরে আটকিয়ে রাখে। তারা আমার কাছে কতটাকা আছে জানতে চাইলে আমি কোন টাকা নেই বলে জানাই। তারা আমাকে রাতে ভাত খেতে দেয়। তবে শারীরিক কোন ধরণের নির্যাতন করেনি। সারাদিন ঔই ঘরে থাকার পর সোমবার রাত ৭টার সময় আমাকে তারা একটি কারে তুলে মাধাইয়া বাজারে নামার আগে আবারো জানতে চান কত টাকা আছে বাড়িতে। বলেছে ২০ হাজার টাকা বিকাশে আনতে। আমি অত টাকা নেই বলার পর বলেছে ৬ হাজার টাকা আনতে। এরপর আমি বার আউলিয়ায় ফোন করে বিকাশে ৬ হাজার টাকা আনি সেখান থেকে এক হাজার টাকা আমাকে দিয়ে তারা আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়।

এদিকে ইয়াছিনের সাথে ফোনে তার ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান কথা বলার পর তিনি বিষয়টি সীতাকুণ্ড থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ চান্দিনা থানাকে অবহিত করলে রাত ৯টার সময় ইয়াছিনকে থানা হেফাজতে রাখা হয়। সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ রাত ১০ টার দিকে ইয়াছিনকে আনতে কুমিল্লায় রওয়ানা দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *