সংবাদ শিরোনাম
Home / বিনোদন / মুক্তিযুদ্ধ এবং তাজউদ্দীন আহমদ|| মযহারুল ইসলাম বাবলা||

মুক্তিযুদ্ধ এবং তাজউদ্দীন আহমদ|| মযহারুল ইসলাম বাবলা||

Babla Uncle Photo৮ আগষ্ট(সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)-

ইতিহাসে কারো অবদানকে ইচ্ছে করলেই কেটে ছোট করা যায় না। টেনে লম্বাও করা যায় না। ঐতিহাসিকভাবে যার যতটুকু অবদান তা স্বীকার করতেই হবে। বিলম্বে হলেও ইতিহাসে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবেই। এটা ইতিহাসের বাস্তবতা। ভুল-মিথ্যা, সাজানো ইতিহাস কালক্রমে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপের দৃষ্টান্ত ইতিহাস জুড়ে রয়েছে। বিজয়ীরা উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যাচারের ইতিহাস রচনায় সত্যকে আড়াল করে নিজেদের গুণকীর্ত্তনের ইতিহাস রচনায় তৎপর হয়; ইতিহাসের শিক্ষা না নিয়ে। কাল-যুগ অতিক্রমে প্রকৃত সত্য ইতিহাস জানা থেকে কেউ বঞ্চিত হয় না। এই সত্যটি বিজয়ীমাত্রই আমলে নিতে পারে না। সকল বিজয়ীর ক্ষেত্রেই এটা লক্ষ্য করা যায়। এ কারণে মানুষ কিছুকাল বিভ্রান্ত হয় সত্য; কিন্তু সঠিক ইতিহাস যুগে-যুগে উন্মোচিত হবার নজির কিন্তু ঐতিহাসিক। ইতিহাসের নিগূঢ় সত্য প্রকাশ বিলম্বে হলেও ঐতিহাসিক সত্যে পরিণত।

আমাদের সময়-কালে সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে-আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ ব্যক্তিকেন্দ্রিক মোটেও ছিল না। ছিল সামষ্টিক, সমষ্টিগত মানুষের অংশগ্রহণ, ত্যাগ, আত্মদান আর বীরত্বে অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের বিজয়। যারা প্রত্যক্ষ যুদ্ধ করেছে, যুদ্ধ পরিচালনা করেছে, সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেছে, প্রচারণায়-কূটনৈতিক তৎপরতায় যুক্ত থেকেছে এবং যারা দেশের অভ্যন্তরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়-আহার সহ মুক্তিযুদ্ধে সার্বিক সহায়তা করেছে। সকলের সম্মিলিত অবদানেই মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিণতি সম্ভব হয়েছিল। সমষ্টিই প্রধান। ব্যক্তি এক্ষেত্র সমষ্টিরই অন্তর্গত। ব্যক্তির ভূমিকাকে তাই বলে গৌণ এবং তুচ্ছজ্ঞান করাও যাবে না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সফল নেতৃত্ব প্রদান করেছিলেন অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। যাঁর দক্ষ নেতৃত্বে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জন সম্ভব হয়েছিল। তিনি মুক্তিযুদ্ধে দলীয় সংকীর্ণতা পরিহার করে অসামান্য বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছিলেন। নানা ষড়যন্ত্র-আপসকামি বিড়ম্বনার মুখেও তিনি অবিচল ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ সফল করার অঙ্গীকারে। নিজ দলের চক্রান্ত্রকারী অংশকে সফলভাবে দমন করতে পেরেছিলেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যদি ব্যক্তির প্রসঙ্গে বলতে হয় তবে সেই ব্যক্তিটি অনিবার্যরূপে তাজউদ্দীন আহমদ। তাঁর নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল এবং তাঁর অসামান্য নেতৃত্বে বিজয় অর্জনও সম্ভব হয়েছিল। তাজউদ্দীন আহমদই বাস্তবে মুক্তিযুদ্ধের মূল নেতৃত্বে আসীন ছিলেন এবং ইতিহাসেও তাঁর নামটি সেখানেই থাকবে। সেখান থেকে তাঁকে বিচ্যুত করা যাবে না। এটাই ইতিহাসের ঐতিহাসিক ঐতিহ্য। মুক্তিযুদ্ধকে দলীয়করণের নানা প্রচেষ্টা একমাত্র তাজউদ্দীন আহমদের কারণেই সম্ভব হয় নি। মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডারদের অধীনে সকল প্রকার প্রশিক্ষণে বামপন্থীদের অংশ গ্রহণ ছিল নিষিদ্ধ। স্থানীয় এম.পি-এম.এল.এ-দের সুপারিশ ব্যতিরেকে কাউকে প্রশিক্ষণে অন্তর্ভূক্ত করা হত না। আওয়ামী লীগ পন্থী ছাড়া মুক্তিযুদ্ধে বামপন্থীরা যাতে অংশ গ্রহণ করতে না পারে-সেজন্য অধিক তৎপর ছিল আওয়ামী লীগের তাজউদ্দীন বিরোধী পক্ষ। সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ দলীয় বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে প্রচুর বামপন্থীদের ২নং সেক্টরে যুক্ত করেছিলেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ২নং সেক্টরের বীরত্বপূর্ণ গৌরবগাথা কারো অজানা থাকার কথা নয়। একমাত্র তাজউদ্দীন আহমদ দলীয় সংকীর্ণতাকে পরিহার করে বামপন্থীদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছিলেন। সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ তাজউদ্দীনের নির্দেশনাই অনুসরণ করেছেন। তাজউদ্দীনের প্রতিপক্ষরা বামপন্থীদের মুক্তিযুদ্ধে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপে প্রাণান্তর চেষ্টা করেও সফল হতে পারে নি; একমাত্র তাজউদ্দীন আহমদ-এর কারণেই। অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ-এর নেতৃত্ব উপেক্ষা করে ভারত সরকারের সহায়তায় তাজউদ্দীনবিরোধীরা গঠন করে বেঙ্গল লিবারেশন ফোর্স। যেটি মুজিব বাহিনী নামে খ্যাত। এই মুজিব বাহিনী গঠনে ভারতীয় জেনারেল ওবান দায়িত্ব প্রাপ্ত ছিলেন। তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর নানা চক্রান্তে শেখ কামালকে অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদে বসানোর চেষ্টাও করা হয়েছিল। দিল্লিস্থ মার্কিন দূতাবাসের মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে আপস-সমঝোতার অপচেষ্টায় মুক্তিযুদ্ধ বানাচালে তৎপর ছিল আওয়ামী লীগের কট্টর দক্ষিণপন্থী অংশ। তাজউদ্দীনবিরোধীদের মধ্যে খন্দকার মোশতাক, কুমিল্লার জহুরুল কাইয়ুম, শেখ ফজলুল হক মনি প্রমুখ ছিলেন অগ্রভাগে। অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান-বিচক্ষণ এবং অসাধারণ তাজউদ্দীন শক্তহাতে সফলভাবে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছিলেন।

খন্দকার মোশতাককে পররাষ্ট্র মন্ত্রীত্ব থেকে দ্রুত সরিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে রক্ষা করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে যদি ব্যক্তির নাম নিতে হয়-তাহলে সেটা অন্য কেউ নয়-অবশ্যই তাজউদ্দীন আহমদ।

একটি সফল মুক্তিযুদ্ধ যাঁর নেতৃত্বে সংঘটিত হয়েছিল স্বাধীন দেশে তিনি চরম অবমাননার শিকার হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী থেকে তাঁকে অর্থমন্ত্রী করা হলেও, অর্থমন্ত্রী পদেও থাকতে পারেন নি। অমর্যাদাকর উপায়ে তাকে বিদায় করা হয়েছিল। অথচ স্বাধীন দেশে মুক্তিযুদ্ধের ষড়যন্ত্রকারী চক্র বহাল তবিয়তে মন্ত্রীর মর্যাদার আসীন ছিল। তাজউদ্দীনের বিদায় দেশের ইতিহাসে অন্যতম ট্র্যাজেডীরূপে গণ্য করা যায়। তাজউদ্দীনের পদত্যাগে দক্ষিণপন্থী কুশীলবদের আচরণ-ভূমিকা ছিল অতীব মর্মান্তিক। দেশ ও জনগণের বৃহৎ স্বার্থে তাঁকে পদত্যাগের লিখিত আদেশনামা পাঠানোর পর প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে সভায় মিলিত হয়ে চরম উত্তেজনায় ছটপট করছিলেন। পদত্যাগ পত্র স্বাক্ষর করে পাঠাতে বিলম্ব হবার কারণেই ছিল তাঁর এই উত্তেজনা। মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে উষ্মা প্রকাশ করে বলেছিলেনণ্ড“এখনও তাজউদ্দীন পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করে পাঠান নি।” এতে তাজউদ্দীনবিরোধীদের পক্ষ থেকে বলা হয়ণ্ড“তাজউদ্দীন লোকজন নিয়ে দল পাকাচ্ছেন।” একথা শুনে ক্ষীপ্ত প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সে যদি অনতিবিলম্বে পদত্যাগ পত্র স্বাক্ষর করে না পাঠায় তবে তাকে আমি বহিষ্কার করবো।” দীর্ঘক্ষণ সরকারি এক কর্মকর্তা সভাকক্ষের দরজায় দাঁড়িয়ে ভেতরে প্রবেশের অনুমতির জন্য বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেও অনুমতি পাচ্ছিলেন না। বার বার দৃষ্টি আকর্ষণের তাগিদের অনেক পরে প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি ফিরিয়ে তাকে ধমকের সুরে বলেন-“কি চাও? দেখছো না মিটিং করছি।” সরকারি কর্মকর্তাটি দ্রুত ভেতরে ঢুকে হাতে থাকা ফাইলটি প্রধানমন্ত্রী হাতে তুলে দিয়ে বলেছিলেন-“স্যার পদত্যাগ পত্র পাওয়ামাত্র তাজউদ্দীন সাহেব স্বাক্ষর করে দিয়েছেন। আমি দীর্ঘক্ষণ ফাইল নিয়ে দরজায় অপেক্ষায় ছিলাম। অনুমতি না পাবার কারণে ভেতরে আসতে পারি নি।” ফাইল হাতে প্রধানমন্ত্রী নিশ্চুপ পাথর হয়ে যান। মন্ত্রী পরিষদের সভাকক্ষ নীরব বিমূঢ়। প্রকৃত ঘটনাটি প্রকাশ পেয়েছে। চাপা পড়েনি। প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণটি জানার পর নিশ্চয় অনুমান করা অসাধ্য নয়-মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী তাজউদ্দীন আহমদের অমর্যাদাকর-নিষ্ঠুর উপায়ে মন্ত্রীসভা থেকে অব্যাহতি। স্বাধীন উত্তর বাংলাদেশে প্রচুর কলঙ্কজনক অধ্যায় রয়েছে। এটি তারই অন্যতম। তাজউদ্দীনকে বিদায়ের মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের পথ উন্মুক্ত হয়েছিল। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫-এর রক্তাক্ত ঘটনা তারই উজ্জ্বল প্রমাণ। নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সপরিবারে নিহত হবার পর তাঁর রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে তাজউদ্দীনকে মন্ত্রীসভায় যোগদান করানো যায় নি। এমন কি বল প্রয়োগেও নয়। রাষ্ট্রের হেফাজতে থাকা তাজউদ্দীন সহ চারজন শীর্ষ নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় কেন্দ্রীয় কারাগারে। নিহত চারজনের প্রধানতম লক্ষ্য ছিল তাজউদ্দীন আহমদ হত্যা। স্বাধীন দেশে প্রধানমন্ত্রীরূপে তাজউদ্দীন আহমদ নগণ্য ক’টি দিন দেশ পরিচালনা করেছেন। স্বল্প সময়ে তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা, বিচক্ষণতা, দেশপ্রেমের নানা দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। মনে পড়ে, হানাদার পাকিস্তানি সেনাদের থেকে মিত্রবাহিনীর সদস্যরা অজস্র অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিল। সেই অর্থে মিত্র বাহিনীর সদস্যদের স্বর্ণ ক্রয়ের হিড়িকের সংবাদ জানা মাত্র প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ দেশের সমস্ত স্বর্ণের দোকানের স্বর্ণ বিক্রি বন্ধের আদেশ জারি করেছিলেন। যাতে দেশের স্বর্ণ সম্পদ লুণ্ঠিত অর্থের জোরে পাচার হতে না পারে। অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বের পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অটল ছিলেন। বিশ্বব্যাংকসহ পুঁজিবাদীদের ঋণ প্রত্যাখ্যানে অনন্য নজির রেখে গেছেন। প্রখর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন তাজউদ্দীন আহমদ দাতার বেশে পুঁজিবাদের অনুপ্রবেশ রুখে ছিলেন। তাজউদ্দীন আহমদ দেশ ও জনগণের প্রকৃত সেবকরূপে নিজেকে প্রমাণ দিয়ে গেছেন। দলীয় সংকীর্ণতায় নিজেকে বিলীন করেন নি। দলবাজির বৃত্ত-বলয় তাঁকে সংকীর্ণ করতে পারে নি। সমষ্টিগত মানুষের মুক্তির স্বপ্ন-আকাঙক্ষা ছিল বলেই মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে দল ও শ্রেণীর বৃত্তে সীমাবদ্ধ না করে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন দেশবাসীর মাঝে। দলের সঙ্গে এবং দলপতির সঙ্গে মতাদর্শিক মতভেদ সৃষ্টির কারণেই তাঁকে পরিকল্পিতভাবে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল অত্যন্ত গ্লানিকর উপায়ে।

শেখ মুজিবের তুলনায় তাজউদ্দীনের অবস্থান অবশ্যই পেছনের কাতারে। দলে এবং জনপ্রিয়তায় তাজউদ্দীন নিশ্চয় শেখ মুজিবের মোটেও সমকক্ষ ছিলেন না। দলীয় সভাপতি শেখ মুজিবের অধীনে দলের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীনের পক্ষে হিমালয়সম শেখ মুজিবের জনপ্রিয়তাকে স্পর্শ করা সম্ভব ছিল না। এবং তিনি তেমন ধৃষ্টতা কখনো প্রদর্শনও করেন নি। দলপ্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের প্রতি আজীবন অনুগত ছিলেন। তাজউদ্দীন দক্ষ প্রশাসক ছিলেন। ছিলেন দূরদর্শী। দলীয় আনুগত্য নিশ্চয় ছিল। কিন্তু ছিল না দলীয় সংকীর্ণতা। সেটা তিনি সচেতনভাবে অতিক্রমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধকে দলীয়করণের বৃত্তে সীমাবদ্ধ না করে অসামান্য বিচক্ষণতার দৃষ্টান্ত রেখেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিণতি সে কারণেই সম্ভবপর হয়েছিল। জাতীয়তাবাদীরা ক্ষমতা লাভেই পরিতৃপ্ত; তাজউদ্দীনের স্বপ্ন-আকাঙক্ষা সেখানে সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি স্বাধীনতা অর্জনের পর মুক্তির বিষয়ে মনোযোগী হয়েছিলেন। জনগণের মুক্তি আকাঙক্ষার কারণেই জাতীয়তাবাদীদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ। জাতীয়তাবাদীমাত্রই ক্ষমতা প্রাপ্তিতে পরিতৃপ্ত। জাতীয়তাবাদী আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে তিনি অবশ্যই ব্যতিক্রম। ভূ-খণ্ডের স্বাধীনতা এবং ক্ষমতা প্রাপ্তি শেষ কথা নয়। মুক্তিযুদ্ধকে আরো এগিয়ে নিয়ে জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে তিনি অগ্রসর হতে চেয়েছেন। যেটা তাঁর দল এবং স্বয়ং দলপ্রধান চান নি। মুক্তিযুদ্ধের সফল নায়কের অপমানজনক বিদায়ের নির্মম ইতিহাস কারো অজানা নয়। অথচ তাঁকে যথার্থ মূল্যায়ন ও কাজের সুযোগ দেয়া হলে বাংলাদেশের ইতিহাস ভিন্নতর হত। ভিন্নতর হত অভাগা জনগণের জীবন।
——————————————————–
mibabla71@gmail.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *