নিজ্সব প্রতিবেদক,২জানুয়ারী(সীতাকুন্ড চট্টগ্রাম)-
সীতাকুন্ডে সেন্টপালস মিশন টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার এন্ড মাসুদ এম্ব্রডারী নামে একটি সেলাই প্রশিক্ষণ সেন্টার এর সু কৌশলে ৩০ নারী প্রশিক্ষানীর্থী থেকে নগদ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় গত ১ ডিসেম্বর থেকে যুবাইদিয়া মহিলা মাদ্রাসায় অনুমতি নিয়ে ১০০টাকার বিনিময় সেলাই,বাটিক,পিঠা ও বিউটি পার্লারের কাজের ট্রেনিং শুরু করে। ১মাস শেখানোর পর তারা গতকাল প্রত্যেক প্রশিক্ষনাথী থেকে কৌশলে সেলাই মিশিন দিবে বলে ২ হাজার করে টাকা নেয়। কারো বাড়িতে গিয়ে আবার কারো থেকে বিকাশে টাকা গুলো আদায় করে। ৪দিন বন্ধ থাকার পর আজ বিকাল ৩টায় প্রশিক্ষক না আসায় ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। টাকা নেওয়ার সময় কাউকে বলতে নিষেধ করে দেয় তারা। কারন ৩০জনের মধ্যে ৫জনকেেই শুধু সেলাই মেশিন দিবে।
পৌরসদরের যুবাইদিয়া মাদ্রাসায় বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৩০নারী অপেক্ষা করে অবশেষে ফিরে যেতে হয়েছে তাদের । প্রশিক্ষকদের ৪টি মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বুঝতে পারে প্রতারনার কথা।
যুবাইদিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নুরুল কবির জানায় গত ২৮নভেম্বর সেন্টপালস মিশন টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার নামের একটি প্রতিষ্ঠান সেলাই প্রশিক্ষনের কেন্দ্রের জন্য আবেদন করে। মাত্র ১০০টাকায় তার সেলাই সহ বিভিন্ন জিনিষ প্রশিক্ষণ দিবে বলে জানই । মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির সাথে আলাপ করার পর সেলাই প্রশিক্ষণের জন্য কেন্দ্রের আনুমোদন দেওয়া হয়। এর পর ১০০টাকা করে নিয়েই তারা কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু আজ তার যথা সময়ে না আসায় ৩০নারী তাদের কাছ থেকে প্রতারানা করে ২হাজার টাকা করে নিয়ে যাওয়ার খবর শুনতে পাই। সোবাহন বাগের জোসনা আখতার জানায় তার কাছ থেকে ২হাজার টাকা নিয়েছে আজ সেলাই মেশিন দিবে বলে। একই ভাবে পলি নাছিমা,নারগিছ,পারুল বড়ুয়া,জোসনা, শারমিন তারা জানা তাদের কাছ থেকে বিকাাশ নম্বরে টাকা নিয়েছে(০১৯১৬২৫৮৭২০,০১৯২২৫১৬১২৭)। তারা আরও জানান পাইক গাছা খুলনার ঠিকানায় জিল্লুর রহমান,নয়ন,জীবন নামের ৪জন প্রশিক্ষণ দিত। তাদের মোবাইল এখন বন্ধ রয়েছে(০১৯৮৭৪৫১৪৮০,০১৮৭২২৯১৭৩৭)
এই ট্রেনিং সেন্টারটি মুরাদপুর স্কুলেও চালু রয়েছে বলে জানাযায়। ক্যাপ্টেন শামছুল হুদা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধঅন শিক্ষক দিলটু কুমার জানান একই কায়দায় আজ প্রশিক্ষনাথীদের থেকে টাকা নিয়ে চলে যায় তারা।
এসব ভুয়া প্রশিক্ষন সেন্টার থেকে দুরে থাকতে বলেছে সচেতন মহল।