সংবাদ শিরোনাম
Home / উপজেলা সংবাদ / সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে গাড়িতে যমজ শিশুর ডেলিভারী করালেন ডাক্তাররা

সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে গাড়িতে যমজ শিশুর ডেলিভারী করালেন ডাক্তাররা

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সীতাকুণ্ড টাইামস ডেস্ক ঃ
সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের দূরদর্শীতায় গতকাল প্রসব বেদনা তীব্র হওয়ায় প্রাইভেট কারেই এক নারী যমজ কন্যা শিশু জন্ম দিলেন।
উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের লালানগর গ্রামের আবুল বাশার তাঁর সন্তান সম্ভাবা স্ত্রীর রাশেদা বেগমের প্রসব বেদনা নিয়ে সীতাকুণ্ড পৌরসদর বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে ছুটোছুটি করছেন। কিন্তু স্ত্রীর যমজ বাচ্চা হওয়ায় কোন ক্লিনিক দায়িত্ব নিতে নারাজ। এরপর একটি ক্লিনিক থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিন্তু তারা পথিমধ্যে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে আসেন। এরই মধ্যে প্রসব বেদনাও তীব্র আকার ধারণ করে। মুহুত্বে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তাররা চেম্বার ছেড়ে প্রাইভেটকারে থাকা প্রসুতির সন্তান ডেলিভারীতে সহযোগিতা শুরু করেন এবং প্রাইভেটকারে হাসপাতালের সমুখে নরমাল ডেলিভারি সম্পর্ন করতে সক্ষম হন। নরমাল ডেলিভারীতে রাশেদা দম্পতির দুটি কন্যা সন্তান জন্ম হয় এবং ডেলিভারী পরবতী যমজ বাচ্চা ও মা সুস্থ থেকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
হাসপাতালে সামনে ছুটে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মো.নুর উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে ডেলিভারীতে নেতৃত্ব দেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. বিবি কুলসুম সুমি,সহযোগিতায় ছিলেন সিনিয়র স্টাফ নার্স সুমিত্রা চক্রবর্তী, মায়া রানী দে,সুমনা আক্তার, ইনচার্জ ইন্দিরা আয়া নুরজাহান । ডেলিভারি পরবর্তী সময়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে বাচ্চার মা এবং বাবাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।


তাৎক্ষনিক অভিমতে যমজ বাচ্চার পিতা আবুল বাশার বলেন,“আমি একজন কৃষক। এর আগে আমার দুটি সন্তান রয়েছে। এখন আমার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হলে আমি সীতাকুণ্ড পৌরসদর এলাকায় ক্লিনিকে যায়। তারা জমজ বাচ্চা থেকে আমাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে যেতে বলেন। এরপর আমরা চমেক হাসপাতালে দিকে ছুটতে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে আসলে আমার স্ত্রী প্রসব বেদনা আরো বেড়ে যায়। আমি গাড়ি নিয়ে হাসপাতালে সামনে গিয়ে ডাক্তারদের বিষয়টি বললে,উনারা দ্রুত এসে আমার স্ত্রীকে বাচ্চা প্রসবে সহযোগিতা করেন এবং যমজ দুটি বাচ্চা গাড়িতে প্রসব করান। সরকারি হাসপাতাল হলেও ডাক্তাররা অনেক আন্তরিক থাকায় আমার বাচ্চা দুটি সুস্থভাবে ডেলিভারী হয়েছে। আমি খুব খুশি।”
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মো.নুর উদ্দিন বলেন,“হাসপাতালে সামনে একটি গাড়ি থেকে এক লোক এসে ডাক্তারদের বলে,তার স্ত্রীর প্রচুর প্রসব ব্যাথা। আমিসহ ডাক্তাররাও তাৎক্ষনিক গাড়িতে গিয়ে দেখতে পায়,প্রসুতি নারী অনেক কষ্ট করছে। এরপর ডাক্তাররা গাড়িতে যত্ন সহকারে প্রসুতির মহিলা যমজ বাচ্চা প্রসব করাতে সক্ষম হই। বাচ্চা ও মা উভয়ে সুস্থ রয়েছেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *