সংবাদ শিরোনাম
Home / ইউনিয়ন সংবাদ / ৪৪ বছর অপেক্ষার অবসান! সোনাইছড়ি জেলে পাড়ার মদনহাট মুরখাদিয়া ব্রীজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন

৪৪ বছর অপেক্ষার অবসান! সোনাইছড়ি জেলে পাড়ার মদনহাট মুরখাদিয়া ব্রীজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন

DSC07014কাইয়ুম চৌধুরী,৩০মে(সীতাকুন্ড টাইমস)- সীতাকুন্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৩শ পরিবারের ২৫শ মানুষ নিয়ে জেলেপাড়া গ্রাম। এখানে প্রায় ২শ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকু পাড়ি দিয়ে দৈনন্দিন কার্যক্রমের জীবনযুদ্ধে নিয়োজিত থাকতে হয় তাদের। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় প্রায় ৪৪ বছর ধরে অত্র এলাকার লোকদের প্রাণের দাবী ছিল ইট সুড়কির একটি ব্রীজ। অবশেষে সে দাবী বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে এলাকার এমপি দিদারুল আলমের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে। শনিবার সকাল ১১টায় ১৭০ ফুট দীর্ঘ ব্রীজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন চট্টগ্রাম ৪আসনের সাংসদ আলহাজ্ব দিদারুল আলম। এ উপলক্ষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সোনাইছড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরউদ্দিন জাহাঙ্গীর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য মো. ইদ্রিস, মো. উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. সাহেদ, আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল হুদা, আবু সৈয়দ, মো. এয়াকুব আলী, বেলাল হোসেন, দিদার, নাজিম, নাঈম প্রমুখ।সভায় বক্তারা বলেন গত ৪৪ বছর ধরে অত্র এলাকার জেলে সম্প্রদায়ের প্রাণের দাবী ছিল মুরখাদিয়া খালের উপর একটি পাকা ব্রীজ নির্মাণ করা। জনপ্রতিনিধিরা ভোটের সময় প্রত্যেকবার এই এলাকায় আসলে ব্রীজ করার আশ্বাস প্রদান করে থাকেন। ৪৪ বছরে এই এলাকায় অনেক সাংসদ, মন্ত্রীও এসেছেন শুধু ব্রীজ করার আশ্বাসেই প্রদান করেছেন,
এই আশ্বাস বাস্তবে রূপান্তরিত হচ্ছে আজ এমপি দিদারের ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই ব্রীজের কাজের শুভ উদ্বোধন ঘোষণার মাধ্যমে। বক্তারা এমপি দিদারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করেন। এ প্রসঙ্গে এমপি দিদারুল আলম বলেন, এলাকার স্থানীয় জনগণের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনেআমি এ জেলেপাড়া এলাকা পরিদর্শন করি এবং বাঁশের সাকু দিয়ে প্রতিদিন ৩শ পরিবারের ছোটবড় আড়াই হাজার লোকের যাতায়াতের কথা মাথায় রেখে একটি ব্রীজ তৈরী করার আশ্বাস দিই। এই ব্রীজ নির্মাণে ২৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে, প্রাক্কলিত ব্যয়ের মধ্যে ৮০% আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এবং বাকী ২০% সরকারী অর্থের যোগানের ভিত্তিতে এই ব্রীজ নির্মাণ করা হবে। তিনি ব্রীজ নির্মাণে এলাকার সব লোকের সহযোগিতা কামনা করে আরো বলেন, মসজিদ, মন্দির, এতিমখানা, মাদ্রাসা, রাস্তা এবং ব্রীজ এইসব কাজের জন্য আমি সরকারের সাহায্যের উপর তাকিয়ে না থেকে নিজের তহবিল থেকে খরচ করে আসছি, জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন আমাকে এই পদে রাখবেন ততদিন এইভাবে জনকল্যাণে নিয়োজিত থাকব ইনশাল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *